সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা সমুন্নত রাখার জন্য ভাষা শহীদদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকে স্মরণ করে ‘অমর একুশে', ভাষা শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।
বুধবার যথাযযোগ্য মর্যাদায় এ দিবস পালিত হয়। অমর একুশের কালজয়ী গান, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি সমবেত গানের সঙ্গে রাত ১২টা ১ মিনিটে রবির উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. মো: শাহ্ আজম শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
রবির একাডেমিক ভবন-৩ এ একুশের প্রথম প্রহরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন এবং তিনি বলেন, বাঙালি জাতীয়তাবাদের মূলভিত্তি হচ্ছে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন। স্বাধীন বংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পেছনে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই তৎকালীন পূর্ব বাংলার গণতান্ত্রিক আন্দোলন সুসংহত হয় এবং অগ্রগতি লাভ করে। ভাষা আন্দোলনের চেতনাঋদ্ধ জনগণ চেয়েছে স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালিকে সে চেতনার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছেন। যার ডাকে কোটি বাঙালি স্বাধীনতার জন্য জীবনপণ লড়াইয়ে ঝাপিয়ে পড়ে ছিনিয়ে এনেছেন লাল সবুজের প্রিয় পতাকা। বাঙালির সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক আকাক্সক্ষাকে হাজারগুণে বাড়িয়ে দেয় এ আন্দোলন। তাই ‘৫২-এর ভাষা আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির গণচেতনার সর্বপ্রথম বহিঃপ্রকাশ এবং স্বাধিকার আন্দোলনের উন্মেষে এক বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। এজন্য বাংলাদেশের ইতিহাসে ভাষা আন্দোলনের ভূমিকা ছিল সুদূরপ্রসারী।
এরআগে মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে শহীদ বেদিতে রাত এগারোটা থেকে সাংস্কৃতিক পরিবেশন করা হয়। পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের আগে রবির একাডেমিক ভবন-৩ প্রাঙ্গণে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এ সময় রবির ট্রেজারার ড. প্রফেসর ফিরোজ আহমদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. ফখরুল ইসলামসহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
